কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে তিন শিশুর প্রাণহানি

প্রতীকী

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে একদিনেই তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স ২ থেকে ৫ বছর।

শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান।

মৃত শিশুরা হলো কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের রোকনুজ্জামানের মেয়ে রাফা (২ ), একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে তাসিব (২) ও উত্তর বড়ঘোপ গ্রামের মো. দেলোয়ারের মেয়ে তুহিন (৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বড়ঘোপ অমজাখালী গ্রামের রোকনুজ্জামানের মেয়ে রাফা বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে তাসিব পুকুরে ডুবে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারপর দুপুর আড়াইটার দিকে উত্তর বড়ঘোপ গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে তুহিন বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে যায়। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল হাসান বলেন, কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার বেশি। শুক্রবারও এক ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে যায় তিন শিশু। হাসপাতালে আনার আগেই ওদের মৃত্যু হয়।

কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আরমান হোসেন বলেন, কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর জন্য মূলত অভিভাবকেরা অনেকটাই দায়ী। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি থাকায় অভিভাবকেরা তেমন নজর দেন না শিশুদের প্রতি। আর প্রতিটি ঘরের পাশে পুকুর কিংবা ডোবা রয়েছে। শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের নজর না থাকায় প্রায় ঘটছে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

আরপিকে/